র‌্যাডিসন ব্লু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশঃ মার্চ ১, ২০১৫ সময়ঃ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:১৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো, প্রতিক্ষণ ডট কম  

Ctg-Hotal-R-1

বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম পাঁচ তারকা হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু’র উদ্ভোধন করতে রোববার চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ উপলক্ষে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। এছাড়া পুরো নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে সরাসরি যাবেন কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসের এক কর্মসূচীতে। সেখানে কর্মসূচী শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন।

সেখান থেকে সড়ক পথে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন নবনির্মিত পাঁচ তারকা হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুতে এসে পৌছবেন। এরপর র‌্যাডিসন ব্লু’র উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরের খাবার এই হোটেলেই খাবেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে হোটেলের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সড়ক দ্বীপগুলোকে ফুল ও বাতিতে সাজানো হয়েছে। হোটেলটির প্রবেশ পথ সহ গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল আকৃতির প্রতিকৃতি স্থাপন করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান স্থলটি জমকালোভাবে সাজানো হয়েছে।

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে বায়েজিদ বোস্তামি সেনানিবাস পর্যন্ত সড়কে লাগানো হয়েছে নতুন রং। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সংস্কার কাজের পাশাপাশি লাগানো হয়েছে ফুল গাছ। চারদিকে সাজ সাজ রব।

এদিকে ২০ দলীয় জোটের ৭২ ঘন্টা হরতালকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা গুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রস্তুতি সভা করেছেন। মাঠে দায়িত্ব পালন করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।

কি কি আছে র‌্যাডিসন ব্লু-তে:

র‌্যাডিসনে রুম রয়েছে ২৪১টি। প্রতিটি রুমেই থাকছে ফ্রি ইন্টারনেট। এর মধ্যে ২২২টি সুপেরিয়র রুম। ১৩টি জুনিয়র স্যুট। ৪টি এক্সিকিউটিভ স্যুট। পুরো হোটেলের ছাদে বিশাল সুইমিং পুল ছাড়াও দু’টি বিশেষ স্যুটে রয়েছে আলাদা সুইমিং পুল। একটির নাম ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’ অপরটি ‘রয়েল স্যুট’। থাকার সকল রুমই অষ্টম তলা থেকে।

এছাড়া পাঁচ তারকা মানের এই হোটেলে থাকছে শপিং আর্কেড যাতে ডিজাইনারদের তৈরী পোশাক, স্বর্ণালংকার, পারফিউমসহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটা করা যাবে। আন্তর্জাতিক মানের ৩টি রেস্তোরাঁ সহ আছে পেস্ট্রি শপও। স্পা, বিউটি সেলুন, হেলথ ক্লাব ছাড়াও রয়েছে ২টি টেনিস কোর্ট।

তৃতীয় তলায় থাকবে ফরাসী রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় থাকবে অরিয়েন্টাল ও বাংলাদেশি খাবার। ইতালির রেস্তোরাঁ থাকবে ২০ তলায়। হোটেলের অতিথিরা ছাড়াও বাইরের অতিথিরাও এসব ডাইনিং ব্যবহার করতে পারবে বিনোদন ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে।

বড়, মাঝারি ও ছোট ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য আলাদা আলাদা কনফারেন্স রুম রয়েছে। বহুমাত্রিক ব্যবহারের জন্য আছে ২টি হলরুম যার অতিথি ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪শ’ জন। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক মেজবানকেও গুরুত্ব দিয়েছে র‌্যাডিসন কর্তৃপক্ষ। ‘মেজবান’ নামে একটি হলও রয়েছে র‌্যাডিসনে।

প্রসঙ্গত স্থপতি মুস্তাকিম পলাশ খালিদের নকশায় এবং প্রকৌশলী মো. রফিকের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে বিলাসবহুল হোটেল র‌্যাডিসর ব্লু। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে ৪ বছর।

বাংলাদেশ সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হলেও হোটেলটি পুরোপুরি চালু হতে আরও ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/রানা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G